আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা পরস্পরবিরোধী বলে মনে করছে বিএনপি।
দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার এক পোস্টে এ অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পোস্টে বুধবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ‘গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ, বুধবার, রাত ৮.৩০টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির গুলশান কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
‘সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে-
১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. মির্জা আব্বাস
৩. বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
৪. ড. আব্দুল মঈন খান
৫. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৬. জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৭. জনাব সালাহ উদ্দিন আহমেদ
৮. বেগম সেলিমা রহমান
৯. মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম
১০. অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।’
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্নে বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
‘১. সভায়, বিগত ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন। ২. সভায় গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপদেষ্টার ভাষণের যে ব্যাখ্যা দেন তা নিয়েও আলোচনা হয়।’
বিএনপির পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘সভা মনে করে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। তার বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি।
‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে অনুষ্ঠানের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘সভা মনে করে, এই ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সভা মনে করে, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্বের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে।’